সোমবার, ২ মার্চ, ২০১৫

তথাগত চিঠি



সুন্দরের প্রতি আমার আকর্ষণ প্রতিনিয়ত।আমি সুন্দরের অনুগত,তথাগত সুন্দরীর নই। আমি সুন্দরকে ভালোবাসি এবং গ্রহণ করতে চাই ভালোবাসা দিয়ে,বাজেভাবে নয়।

যে তথাগত সুন্দরী সুন্দরকে কুৎসিত করতে চায় কুৎসার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আমি সদা জাগ্রত। তথাগত সুন্দরী..... 

তুমি তোমার পাপড়ি ছিঁড় কিংবা তা উন্মুক্ত বিলিয়ে দাও তাতে আমার কোন আপত্তি নেই।তোমার মধু ভ্রমরকে খাওয়াও তাতেও আপত্তি নেই।কিন্তু আমাকে তাদের শ্রেণীতে ফেলনা যারা তোমার মধুর লোভে দিশেহারা।

ভুল বোঝা



সাধারণত আমাকে কেউ বুঝতে পারেনা অথবা বুঝতে চেষ্টা করেনা।তাতে আমার কোন দুঃখ নেই।খুব খারাপ লাগে যখন কেউ আমাকে ভুল বোঝে।ছোট্ট একটি ঘটনা বলছি...

এক বিকেলে মাঠের পাশে পুকুর পাড়ে বসে গোপন প্রিয়ার কথা ভাবছি।হঠাৎ পুকুরের পানিতে একটা শব্দ শুনতে পেলাম।মাঠ থেকে বল এসে পড়ল পুকুরে অবস্থানরত একটা ব্যাঙাচির উপর।অমনি সবগুল ব্যাঙ আমার উপর রেগে গেল।ব্যাঙদের ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ মিছেলে কতিপয় মাছ সাহেব এসে যোগ দিল।মাছের সর্দার এসে রেগেমেগে আগুন।আমি তখন মুচকি হেসে বললাম,মাঠ থেকে একটা বল এসে পড়েছে আমি ঢিল মারিনি,আপনারা অযথায় আমাকে...

কতিপয় মাছ সাহেব তাদের ভুল বুঝতে পেরেছিল কিন্তু অন্যদের চান্দি গরম।যাক সে কথা এমন অনেক ঘটনাইতো ঘটেছে।লেখালেখির অভ্যাস না থাকায় উল্লেখ করতে পারছিনা।কেউ আমাকে ভুল বুঝলে আমার খুব খারাপ লাগে।আমি কখনো কাউকে দুঃখ দিতে চাইনা।।।

প্রতীক্ষা



বিকেল গড়িয়ে এলো একা বসে আছি
নিস্তব্ধ নিরালায় তোমারই প্রতীক্ষায়। 

আজও জানতে পারিনি-
      সেই বেদনার্ত দিনের মর্ম।
সন্ধায় হঠাৎ মনে পড়ল
      আজ শাপলা কুড়াতে যাব। 

হালকা স্নিগ্ধ রজনীতে দেখেছি তোমায়
কেমন আছেন?ধ্বনিত হল মোর কর্ণে
অপূর্ব সেই সুর;মায়াবিনী না রূপসিনী 
কি বলবঃসুন্দরী,স্বপ্নময়ী না আপ্যায়নী

আমি মুনি হয়ে অন্তঃদৃষ্টি দিয়ে দেখেছি
তোমাকে; তুমি বুঝনি প্রিয় বান্ধবী
বিদায় নিশ্চিত জেনেও বলতে পারিনি
বিদায়,বন্ধু বিদায়। ভালো থেকো।।




পহেলা বৈশাখ



পহেলা বৈশাখের মধ্য দুপুরে
বেলি ফুলের মুখরিত হাসি
অন্তঃপটে জুড়ায় মুনের আলো 

হঠাৎ শুরু হল বৃষ্টি...
বৃষ্টিকণা’র শব্দে স্বপ্ন ভাঙে
তাকিয়ে দেখি লিলি সেজেছে
যেন মায়াপুরির বেশে। 
 
সীমার মাঝে অসীম তুমি
সসীমের সীমানায় সীমা দাড়িয়ে
প্রিয়াঙ্কার অপেক্ষায় সন্ধ্যা অবধি।

শরতের পর বসন্ত আসে দীর্ঘ
সুত্রিতায়ঃ জেমি দিদির গম্ভীর
মুখে তারই শোভা পায়। 
  
পরিশেষে ইতির ইতি কথায়
টানলাম নষ্ট কবিতার ইতি।।

পার্বত্য বাঙ্গালী



যদিও বিংশ শতাব্দীতে
মানুষের শোকের আয়ু
বড়জোর এক বছর।

তথাপি আমার কোন শোক নেই
পাওয়ার আনন্দ নেই যেখানে
হারানোর প্রশ্নই আসেনা সেখানে।  

তুমি পার্বত্য বাঙ্গালী মারোঃমানুষ নয়
এভাবে যেখানে যাকেই মারনা কেন
জেনে রেখঃ পার্বত্য বাঙ্গালী মেরেছ
এনয় কোন মানবতা বিরোধী অপরাধ।

এর হবেনা কোন প্রচার,হবেনা কোন বিচার
যতপার কর নির্যাতন,নিপীড়ন,প্রকাশ্যে হত্যা।

ওদের কোন চাওয়া-পাওয়া নেই
অধিকার নেইঃবাংলাদেশের ভু-খণ্ডে
পার্বত্য চট্টগ্রামের নাম মুছে দাও
নিঃশেষ করে দাও বাঙ্গালীর অস্তিত্ব।

শোনঃ সাম্রাজ্যবাদীরা তোমার সাথে
সাংবিধানিক সরকার তোমার পক্ষে
তোমাদের যুবতীদের কোমর দুলানোয়
মুগ্ধ-জাতির বিবেকেরা তোমাদের অস্ত্র

তবে কেন তুমি বসে আছ চুপে
মারোঃ যতপার বাঙ্গালী মারো
পার্বত্য বাঙ্গালিঃকোন মানুষ নয়
তাদের কোন মানবাধিকার নেই।

না আমি মানুষ,আমি পার্বত্য বাঙ্গালী
আমি এ দেশের নাগরিকঃ বাংলাদেশী
আমার আছে স্বাধীনভাবে চলাফেরা
বেঁচে থাকার সাংবিধানিক অধিকার

হত্যা বন্ধ করঃ
এভাবে মানুষ হত্যা চলবে না।