মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১১

তোমার জন্য কবিতা

অশ্রুহীন
আজও আমার স্বপ্ন দেখার হয়নি সারা
তোমাকে হারিয়ে আজ আমি দিশেহারা।

কলম আমার লিখেছিল_ শুধু তোমায় নিয়ে
চিলেকোঠার পাশে দাড়িয়ে ভেবেছি তোমায়,
মনের ক্যানভাসে এঁকেছি তোমার শত ছবি
রঙ-তুলি হারিয়ে গিয়েছে চলে গিয়েছ তুমি।

নিয়ন আলোয় অচেনা পথে আজও একাকী
ক্লান্ত পথিক ভাবছি তোময়, মনে পড়ে কি ?
বরষা দিনে একসাথে মোরা হয়েছি বৃষ্টিস্নাত
হাতে হাত রেখে আমি সময়কে করেছি মুগ্ধ।
চলে গেলে তুমি আমাকে ছেড়ে অন্য মনপুরে
চোখের জলে বৃষ্টি হয়েছে তুমি ফিরে আসনি।

তোমার হৃদয়পুরে আজ নেইকো আমার ঠাই
শূন্য মনে লিখি কবিতা তোমাকে আমি চাই;
চাওয়া-পাওয়ার ব্যারাম আমার হয়নি শেষ
দুঃস্বপ্নের নায়ক আমি, কাটেনি মনের ক্লেশ।

এখনো আমার সময় কাটে তোমার পথ চেয়ে
আঙ্গুলে আঙ্গুল জড়াবে হাসিমুখে এলো-চুলে।

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০১১

তোমার জন্য .......

অশ্রুহীন

তোমার অশ্রুসিক্ত নয়নের চাহনি
নীল অন্তরীক্ষের মেঘে ঢাকা
স্বপ্নিল সে রঙ আজ হল কালো
অন্ধকারছন্ন হল তোমার ভুবন।
তুমি কাঁদ সঙ্গোপনে অসহনশীলতায়
হারিয়ে যেতে চাও দূর নীলিমায়
ছুটে যেতে চাও দুরের সীমানায়
উচ্চস্বরে গাহিতে চাও বিজয়ের গাণ।

আজি মধ্যাণ্ণের হাহাকার শুনী
শেষ বিকেলে মেঘের গর্জন ধনি
ক্ষুধিতের আহার চিন্তায়
মলিন হল নবান্নের সন্ধ্যায় ।

তোমার কান্নায় আমি আহত
তোমার চিন্তায় আমি বিরহিত
তোমার অশ্রুসিক্ত নয়নের জলে
আমি উদাসীন, শিহরিত।

তুমি পথ চলনাক বন্ধুর পথে
পথ হারা পথিক হয়ে উদাসীন
যেওনাক দুরে আমাদের ছেড়ে
থেকো মোদের মাজে আপন হয়ে
সাফল্য আজ প্রতীক্ষ্য মান তোমার দারে
বরণ করে নাও তারে মধুর সুরে ।
গড় জীবন জীবনের মতো করে...।।

বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০১১

শুক তারা শুধু জাগে

অশ্রুহীন

দুর নীলিমায় ছেয়ে দেখি তারাদের হাতছানি
তবু মনে আসে নাক বার্থতার অনুরাগ
আমার কষ্ট আমি শুধু জানি
কেন জানি কেমন লাগে কি অনুরাগে
সারা রাত আমি জাগি আর
শুকতারা শুধু জাগে ।

সার্থকতা এসেছিল কবে জানি
এখন শুধু বার্থতার মায়াজাল,
অবিরাম বর্ষণ দু চোখে আমার
তবু বয়ে চলে মহাকাল-
শত রাত্রি আমার কাটে নির্ঘুম
বার্থতার কর্কশ আলো মেখে
শুকতারা শুধু জাগে ।

২। স্বপ্নাতুর আজো আমি নিভৃতে ভাবি
আপন আলোয় ভুবন আলোকিত করি
অসীমের পানে ছুটি আলোর আশায়
কেটে যাক আঁধার ভূলে সব হতাশা
আমি জাগি জাগে আমার স্বপ্ন
শুক তারার সাথে আমার ভারী সখ্য।

শুকতারা তুমি জাগো আমায় নিয়ে
দুজনে মিলে কাটাব সুখের সায়রে।

যখন হারিয়ে যাব

অশ্রুহীন
যখন আমি হারিয়ে যাব
তোমাদের সব ছেড়ে
কোথাও খুঁজে পাবেনাক
এই ধরণীর তীর।
ভুলে যাবে সুখ, ভুলে যাবে দুখ
ভুলে যাবে তুমি মোরে।
ভুলে যাবে গান, ভুলে যাবে তান
ভুলে যাবে চুপিসারে।
ভুলে যাবে সুর, ভুলে যাবে দুর
ভুলে যাবে সুখ –সারী
ভুলে যাবে কোন রৌদ্রজ্জল, বৃষ্টিস্নাত দিন।
শুধু তোমারই কথা ভেবে ভেবে মোর
সময় হয়েছে সারা ।
ভুলে যাবে তুমি আমার লেখা
গল্প কবিতা গান।
ভুলে যাবে তুমি কফি হাউসের
আড্ডাটা সারাদিন ।
ভুলে যাবে তুমি শীতের সকাল
শ্রাবণ মেঘলা দিন।
একই সাথে বসে গল্প আড্ডায়
কেটে যেত সারাদিন।
ভুলে যাবে মান, ভুলে যাবে গান
ভুলে যাবে চুপিসারে।
শুধু তোমারি কথা ভাবব আমি
এ কথা বলিব কারে।
ভুলে যাবে তুমি কবিতার কথা
আমার সুরের গান
ভুলে যাবে তুমি নৃত্তের তালে
দু জনার হেঁটে চলা
শুধু তোমারি কথা ভেবেভেবে মোর
সময় সঙ্গী হারা।

ঈর্ষা

অশ্রুহীন

আমার ঈর্ষা হয়,
তোমাকে দেখে,
তোমাকে ভেবে।
যখন তুমি দাড়িয়ে
হিমালয় আল্পসে
আমি একা বসে,
নিচে তোমার পদতলে।
তোমাকে দেখে বারবার,
আমার শুধু ঈর্ষা হয়।
আমি কাঁদি সঙ্গোপনে,
ভাবি নিজ্জুম নিরালায়
আমি বাঁধি আমার,
রঙিন সুখের স্বপ্ন
শুধু তোমায় নিয়ে ।

শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০১১

স্বপ্নময়ী

অঝরে নামলো বৃষ্টি
নিস্তব্ধ নীরবতার মাঝে
একাকীত্বে ভাবি নিভৃতে
আজকের এ রাত আমার

নির্ঘুম রাতের পাখি হয়ে
আছি জেগে যখন সবাই ঘুমিয়ে
ভাবছি আমি সারা প্রহর আর
ফেলে আসা দিনের স্মৃতি
আহা আজও আমার
আন্দোলিত উদ্বেলিত করে

কতটা পথ হেঁটেছি কতটা
ক্লান্ত পথিক হয়ে বসে আছি
তোমার সাথে বৃষ্টিস্নাত দিন
আর ঝড় বিকেলে হেটে চলা

নির্ঘুম রাতে মনে পড়ে যায়
তোমায় নিয়ে লেখা কত কবিতার
ছন্দের তালে হেঁটেছি দুজনে
ঘুরেছি কত আপন মনে
তবুও হয়নি আজও বলা
দুটি মনের অপ্রকাশিত কাব্য
আঁধারে একাকীত্বে, নিভৃতে
মনে পড়ে এ বরষার রাতে
তোমাকে খুঁজেছি কত আমি
তবুও কি আমায় ভালবাসনি?

নির্বান স্বপ্ন

চাঁদের দেশে বানাবো বাড়ি

থাকবেনা আমার কোন গাড়ি

শূন্যে ভেসে বেড়াব আমি

যখন ইচ্ছে যেথায় খুশি



মঙ্গল গ্রহে শ্বশুর বাড়ি

সুন্দরী বধূ দেখতে মেরী

যাওয়ার সময় করব কেরী

নানান রকম ফল ফলাদি



বুধে আমার চাচার বাড়ি

চাচী আমার দেখতে ভারী

চাচাত বোন লাজুক ভেরী

মুখটা লুকায় দেখতে দেরি



পৃথিবীতে থাকে জীব জানোয়ার

ক্ষুধার্তরা শুধু করে হাহাকার

সেথায় কোন আত্মীয় নেই আমার

পৃথিবীতে ভ্রমণ করিনা আমি আর



আকার বড় বৃহস্পতির

বড় মামা হলেন ফকির

হাড় মাংস সব গেল উড়ে

থাকেন এখন কুড়ে ঘরে



বুধে থাকেন ছোট্ট মামী

মামা করেন পাগলামি

মামীর মেয়ে ছোট্ট জেমি

ডাকি আমি গাল ফুলানি



প্লুটো আমার বেয়াইন বাড়ি

আদর তিনি করলেন ভেরী

বেয়াইনকে দিলাম জলের শাড়ী

তারপর যাব বোনের বাড়ি



বোনের বাড়ি নেপচুন

খায় শুধু কেপ-চুল

কানে পড়ল হাওয়ার দুল

নাকে তাহার বৃষ্টির ফুল।

বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০১১

উপমা

বন হরিণী- নও তুমি আকাশের চাঁদ
আমার লেখা কবিতা তুমি, নও জলপ্রপাত

স্নিগ্ধ রজনীতে তুমি ফুটন্ত গোলাপ
সৌন্দর্যের প্রতীক তুমি আমি উন্মাদ

সবুজ ঘাসের উপর তুমি শিশির বিন্দু
আমার প্রেরণা তুমি, নও বিষাদ সিন্ধু

চৈত্রের দুপুরে তুমি একফোঁটা জল
অমাবস্যায় তুমি কেড়ে নিলে মন

নির্ভয়ে করবে কি আমায় আপন?

শূন্য আমি


শূন্য খাতায় লিখেছি কবিতা
ভেসেছি হাওয়ার জলে
গাইনি কোন সুরেলা গান
ব্যঙ্গ সবাই করে
শূন্যে হেটে বেরাই আমি
শূন্যে আমার বাড়ি
জীবনটা আমার ০ হল
০ সারি সারি
শূন্যে চলে জীবন তরী
শূন্য তাহার মালী
০ মনে লিখি কবিতা
আঁকি না তোমার ছবি

সানিধা এবং দৈবনী



একদিন বৃষ্টিস্নাত দুপুরে টি এস সি বারান্দায়

দাড়িয়ে উপভোগ করছি বৃষ্টি এবং বৃষ্টি কণা

বৃষ্টির টুপটাপ শব্দে আমি খুঁজছি নতুন ছন্দ

মনে বাজছে বৃষ্টির সুর, সুরেলা গান

বিরহ বেদনা কিংবা রোমান্টিক মুহূর্তের

হঠাৎ চোখ সম্মুখে দেখেছি তোমাদের

অপলক দৃষ্টিতে  তাকিয়ে আছি আমি

কেনইবা তাকাবোনা আমি

সে দেখবেই, এ চোখের ক্ষুধা

দৃষ্টি সীমার মাঝে ছিলে যতক্ষণ

অপলক দৃষ্টিতে দেখেছি ততক্ষণ

তোমরা হাঁটছ নিতম্ব দুলিয়ে

বুকের ওড়না গলায় ঝুলিয়ে

বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়ে গেছে

তোমাদের উরু, নিতম্ব এবং প্রস্ফুটিত বুক

আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম

তোমাদের জামার ভিতরের জামা

পায়জামার ভেতরের পায়জামা

মলিন, মসৃণ লুকায়িত নারীদেহংশ