বুধবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

কুরচি


(বুদ্ধদেব গুহ)
তোমার চিঠি হঠাৎ এই শীত সকালে
একরাশ উষ্ণতা বয়ে আনল
পাতা ঝড়ে যাচ্ছে সামনের শালবনে
বিবাগী হচ্ছে ভগি,রিক্ততার দিন আসছে সামনে
এরই মধ্যে তোমার চিঠি যৌবনের দ্যুতির মত এলো
এক ঝাঁক টিয়ার উল্লাসী সমবেত সবুজ চিৎকারের মতো
তার মানে এই নয় যে,তোমার চিঠি দুর্বোধ্য
উপমার খোদ ক্ষমা করে দিয়ো
কেমন আছ তুমি?
জানতে চাইলেও জানতে পাই কই? 
সকাল থেকেই তোমাকে আজ
খুব সুন্দর একটা চিঠি লিখতে ইচ্ছে করছিল
ঘুম ভাঙার পর থেকেই,
তোমার কথা মনে পড়ছিল খুবই
আজকে ঘুমও ভাঙল বড় এক চমকে
এক জোড়া পাখির ডাকে ঘুম ভাঙল
যে পাখিদের ডাক বড় একটা শুনিনি এদিকে
কম্বল ছেড়ে দৌড়ে বাইরে গিয়ে দেখি
এক জোড়া স্কারলেট-মিনিভেট
এসে বসেছে আম গাছের মাথায়
আমার ঘুম ভাঙ্গানিয়া পাখিরা
আহা রোজই যদি আসত
আর তার পরই তোমার এই চিঠি
দিন আজকে ভালই যাবে আমার
…………………………………………………………………
বলছিলাম যে,সকাল থেকেই তোমাকে
সুন্দর একটা চিঠি লিখব ভাবছিলাম
কিন্তু,সুন্দর সুখের যা কিছু ইচ্ছা তা দমন করার মধ্যেও
বোধহয় এক ধরনের গভীরতর সুখ নিহিত থাকে থাকে না
আজ চিঠি লিখবনা তোমাকে
তার বদলে একটি স্বপ্নহার পাঠাচ্ছি
লেখক কবি না।তবুও তার নাম গোপনই থাক
কিযে দেখেছিলাম তোমার ঐ মুখটিতে কুরচি
এত যুগ ধরে কত মুখইতো দেখল এই পোড়া চোখ দুটি
কিন্তু এমন করে আর কোন মুখইতো
আমার সর্বস্যকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করেনি
ভাল না বাসলেই ভাল। বড় কষ্টগো ভালবাসায়
ভালোবাসাতো কাউকে পরিকল্পনা করে বাসা যায়না
ভালোবাসা হয়ে যায়,ঘটে যায়
এই ঘঠনা ঘটার অনেক আগে থেকেই
মনের মধ্যে প্রেম পোকা কুড়তে থাকে
তারপর হঠাৎই এক সকালে এই দুঃখ-সুখের ব্যাধি
দুরারোগ্য ক্যান্সারের মতই ধরা পড়ে তখন আর 
কিছুই করার থাকেনা   
অমোঘ পরিনতির সঙ্গে অশেষ
যন্ত্রণার সঙ্গে শুধু নীরব অপেক্ষা তখন।
কেউ যেন কাউকে ভাল না বাসে
জীবনের সব প্রাপ্তিকে এযে অপ্রাপ্তিকে গড়িয়ে দেয়
তার সব কিছুই হঠাৎ মূল্যহীন হয়ে পরে
হুশ থাকলে এমন মুর্খামি কেউ কি করে বল
সেজন্য বোধয় হুঁশের মানুষদের কপালে
ভালবাসা জোটে না
যারা হারাবার ভয় করে না কিছুতেই  
একমাত্র তারাই ভালবেসে সব হারাতে পারে
অথবা অন্যদিক দিয়ে দেখলে মনে হয়
যা কিছু সে পেয়েছিল বা তার ছিল সেই সমস্ত
কিছুকেই অর্থবাহী করে তোলে ভালবাসা
যে ভালবাসেনি,তার জীবন বৃথা
তবুও বড় কষ্ট ভালবাসায়
এমন মহাবোধ আর কি আছে।।
....................................
সপ্নহার তোমাকে পাঠাই
নীল নদীটির নিবির পাড়ে ঘুম পাওয়া রোদ
চমকে চাওয়া অলস পায়ে,যখন হাটে
মাঘি মাঠের ন্যাবা ধরা শূন্যতাতে
ঠিক তখনি আমার বুকের গভীর থেকে
স্বপ্নগুলো ঝাপটে ডানা
অস্ফুটে কি কইতে কইতে নড়েছড়ে
সপ্ন ওরে,সপ্ন দেখি নীরের পাখি আসছে নীড়ে   
অনেক পাহাড় মাঠ পেরিয়ে,ভালবাসা ঠোটে করে
আসছে ফিরে পাখি আমার নীরের পাখি
সপ্নগুলো খুব ভিতু হয়,আমার সপ্ন সবার সপ্ন
আমার কিছু স্বপ্ন ছিল
স্বপ্ন দিয়ে মালা গাঁথি স্বপ্নমালা
ছিপছিপে সেই মেয়ে ছিপছিপে সে
শ্যামলা বরণ,পেঁয়াজ ঘুচি শাড়ি
তার স্বপন পুড়ে বাড়ি,আমার সংগে আরি
স্বপ্নে দেখা নারী,পেঁয়াজ ঘুচি শাড়ির আঁচল
ঠোঁটের কোনে তিল,স্বপ্নমালায় গেঁথে গেল
হরিণ চিতা চিল।
স্বপ্নে আমি ভেবেছিলাম অনেক কিছুই
ভেবেছিলাম এটা করব,সেটা করব,বাড়ি করব,
পাহাড় চূড়ায় স্বপ্ন এবং সুখের কুটো দিয়ে
পায়ের কাছে বইবে নদী নারীর মতো
সাধের নারী,বাধ্যতার নাব্যতাতে নীল
স্বপ্ন ওড়ে স্বপ্ন ওড়ে বারে বারে।।
............................................................


কুরচি 
দেখি কি করতে পারি
তোমার সংগে বেড়াতে যাওয়ার 
ইচ্ছেতো কত কিছুই করে
এ জীবনে ক’টি ইচ্ছে আর পূর্ণ হল 
বল,কারই বা হয়
এমনিতে আমার অনেক কষ্ট
এমন করে ডাক পাঠিয়ে কষ্ট
আর বাড়িও না
একা একা মজা করতেও
বিবেকে লাগে
যার বিবেক বেঁচে থাকে তার 
সুখ মরে যায়
সুখী হওয়ার সহজ উপায়,
বিবেকহীন হওয়া
বিবেক বিবস হলেই বাঁচি
ভালো থেকো
তোমার
প্রিথু দা



সোমবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

0.00 অশ্রুহীন রোড



 0.00 অশ্রুহীন রোড
(স্মৃতিময় শ্রুতি নাটক)



কিছু সত্য কিছু গল্প
“অনেক অজস্র নির্ঘুম রাতের শেষে দিবসের প্রথম সূর্যালোকে হাতে হাত রেখে শেষ কবিতায় যে কথা বলতে চেয়েছিলাম আজো বলা হয়নি,শেষ কবিতার পরের কবিতায় সে কথা বলব বলে আজো নির্ঘুম রাত কাটে”




গানঃ পুরানো সেই দিনের কথা.....
 দৃশ্যঃ 0অন্তোজ চ্যাটার্জি


প্রিয়,কথকি চাকমা
স্মৃতিতে এখনো সেইদিন।আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে চলছিল আমাদের গাড়ি। তখনো আমরা দুজন দুজনের কাছে একেবারে অপরিচিত।ঘটনাক্রমে হলাম অপরিচিত থেকে পরিচিত।
দিবসের সূর্যটা ডুবে যাচ্ছিল,চারদিক অন্ধকার হয়ে আসছিল।প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যেও আমি বেশ উষ্ণতা অনুভব করছিলাম।বাড়ি ফিরেই তোমাকে লিখতে শুরু করলাম-শেষ বিকেলে মেঘ।


ইতি...
অন্তোজ চ্যাটার্জি




দৃশ্যঃ 0.00কথকি চাকমা



অন্তোজ চ্যাটার্জি,
তোমার ডুবে যাওয়া লালসূর্য এখন আমার ড্রয়িং’র খাতায়।একটা ঝিমধরা দুপুরের গল্প আমাকে শোনায়,ভাবতে শেখায়।একটা হারানো রদ্দুর যখন রাস্তা খুঁজে পায়,যখন অন্ধকারে পায়না কোন ভয়,ভেবো আমায় পাশেই থাকবো।তোমাকে মনে পড়ছে খুব।তোমার দেয়া ‘চ্যাপ্টাগোলাপ’ সযতনে রেখেছি ডায়রির পাতায়।ভালো থেকে।



ইতি...
কথকি চাকমা

  


দৃশ্যঃ 1.00 অন্তোজ চ্যাটার্জি



প্রিয়,কথকি চাকমা
আকাশে মেঘ,মেঘে মেঘে গর্জনে গা শিউরে উঠে।বৃষ্টি উপেক্ষা করে পুরনো সেই পুকুর পাড়।হঠাৎ চোখ সম্মুখে একটা ছবি ভেসে উঠল।কি অপূর্ব হাসি,মায়াবি চোখ,কালকেশির যাদু আমায় গ্রাস করেছে।আসলে সবি ভ্রম।
মায়াবি চেহারার সুমধুর তানের মায়াবিনীর দেখা মেলেনি।আজো আমি হারিয়ে যাই...

গানঃ কথকি চাকমাঃ কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে...
অন্তোজ চ্যাটার্জিঃ দিনটা হোকনা যতই মেঘলা ঘরে থাকবনা পরে একলা চল বেড়িয়ে                                                                                 পরি যেদিকে দু’চোখ যায়...






 দৃশ্যঃ1.01 কথকি চাকমা



অন্তোজ চ্যাটার্জি
বিঝুতে তুমি বাড়িতে আসবে ভাবিনী।তাছাড়া...আম্মুর সামনে কিছুটা অস্বস্তিবোধ করছিলাম 
চারণ শিল্পগোষ্ঠীতে যুক্ত হয়েছি।গণসঙ্গীত মন্দ লাগেনা।মাঝে মাঝে মনেপড়ে সেইসব দিনের কথা।রিসাং-এ গিয়েছিলাম,জয়িতার সাথে দেখা হয়েছিল। বলল অনেকদিন তোমার সাথে যোগাযোগ নেই।পরের বিঝুতে খাগড়াছড়ি  যাওয়া হবেনা।একা থাকতে থাকতে একাকীত্বই এখন আমার ভালো লাগা।


তোমার চিঠির প্রতিক্ষায়...
কথকি




দৃশ্যঃ 2.00অন্তোজ চ্যাটার্জি



প্রিয়,কথকি চাকমা
জীবন সম্পর্কে তোমার মতো গভীর চিন্তাচেতনা বা ভাবনা আমার নেই।
বৃষ্টি বিকেল,রৌদ্রস্নাত দিন অথবা কোন চাঁদনী রাতে তোমাকে ভাবতে ভালো লাগে।বিষাদময় মুহূর্তগুলোতে শুকতারার সাথে আমার সখ্য গড়ে ওঠে।শুকতারা আমায় কানে কানে জানান দিয়ে যায়...
“সুন্দরের স্বপ্নে আয়োজনে
নিঃশ্বাস নিঃশেষ হোক পুষ্প বিকাশের প্রয়োজনে
উচ্ছ্বাস কমাও,বিশ্বাস বাড়াও”
অন্ধকার আমার পছন্দের,একাকী হেটে বেড়ানো,আকাশের পাণে চেয়ে নির্জনতায় আমার আমিত্বকে প্রতিষ্ঠার ভাবনায় হারিয়ে যাই স্বপ্নলোকে..





 দৃশ্যঃ 2.01 কথকি চাকমা



অন্তোজ চ্যাটার্জি,  
স্মৃতি কখনো আনন্দের কখনো বেদনার তবুও ফেলে আসা দিনের স্মৃতি মনে করতে ভালো লাগে।তুমি রয়ে গেছ কল্পনায়,আমি তোমার মত নই।
বাস্তবতা,পারিপার্শ্বিকতা,ধর্মীয় অনুশাসন সবকিছু মিলিয়ে চলছে আমার সময়মাঝেমাঝে তোমাকে দেখতে কিংবা কথা বলতে ইচ্ছে করে।ইচ্ছে করে দুজনে হই গুহাবাসী।কিন্তু সেটা হয়তো সম্ভবপর হয়ে উঠবেনা।ধর্ম পার্থক্যের চেয়ে বড় ব্যাপার আমাদের দুজনের দুরকম স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠা।
ঋষি-দি তোমার ‘সবজান্তার অজান্তে’ এবং ‘সানিধা-দৈবনী’ শুনিয়েছিল।  তোমার প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা,সত্যকথা সহজভাবে লেখার মানসিকতা দারুন লেগেছে।‘চ্যাপ্টা গোলাপ’তোমাকে অনেক বেশি মনে করিয়ে দেয়। ভালো থেকো 

তোমার প্রিয়...
কথকি চাকমা



দৃশ্যঃ 3.00অন্তোজ চ্যাটার্জি
  


প্রিয়,কথকি চাকমা
তোমায় নিয়ে আমি স্বপ্নসায়রে নাও ভাসিয়েছি,কল্পরঙে ছবি এঁকেছি মনের ক্যানভাসেতোমায় নিয়ে হারিয়ে যাই...
বলছিলামযে,শূন্য এবং শূন্যতা।ওরা দুজন দুরকম তবু কোথা যেন মিল অন্যরকম।কল্পলোকে আবিষ্কৃত হল নতুন গ্রহ-‘শূন্যগ্রহ’সেখানে আছে শুধু শূন্য এবং শূন্যতা।
কল্পনায় তোমায় সাজিয়েছি নানারূপে,রঙের বৈচিত্রের সমন্বয়ে।কখনো শিশির বিন্দু কখনো চাঁদনি রাত।নিভৃতচিত্তে ভাবনার সেদিনগুলো হারিয়ে গেছে। 


 ইতি...
অন্তোজ চ্যাটার্জি




দৃশ্যঃ 3.01কথকি চাকমা



অন্তোজ চ্যাটার্জি,
অনেক দিনেরপর তোমার চিঠি পেলাম।বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি শুনেছ  নিশ্চয়।যুক্তহয়েছি পারিবারিক ঐতিহ্যের বাম রাজনীতিতে
বিপ্লব,সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম আর সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্না,আনন্দ-বেদনা নিয়েই আমার ভাবনা।তোমাকে ভাববার সময় কই বল?বেঁচে থেকে কি লাভ যদিনা পৃথিবীর অংশ হতে পারি।সংগীত প্রায় ছেড়েই দিয়েছি,তবে নতুন করে সিগারেট ধরেছি।


ইতি...
কথকি চাকমা






 দৃশ্যঃ 4.00 অন্তোজ চ্যাটার্জি



কথকি চাকমা
শূন্যগ্রহের কথা আগেই বলেছি তোমায়।কল্পলোকে শূন্য এবং শূন্যতার আড্ডা জমে অশ্রুহীন রোডের জিরো(0.00)পয়েন্টে।শেষবারের দেখায় শূন্যতা সেজেছিল অপরূপ সাজে।শূন্যতার কাল্পনিক সাজে পূর্ণতা পেয়েছিল 0-গ্রহ।
শরীরে তার জলের শাড়ি,কানে হাওয়ার দুল,নাকে পড়ল বৃষ্টির ফুল।

“নির্ঘুম রাতে মনেপরে তোমায় নিয়ে কত কবিতায়
ছন্দের তালে হেঁটেছি দুজনে ঘুরেছি কত আপন মনে
তবু হয়নি আজো বলা দুটি মনের অপ্রকাশিত কাব্য”







দৃশ্যঃ 4.01 কথকি চাকমা


মিঃচ্যাটার্জি
আমার সিগারেট ফুঁকার পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছেগাঁজাও টেনেছি দু’একবার
কারো হৃদয়ের রক্তক্ষরণ,অশ্রুধারা,অশ্রুহীন রোড এসব নিয়ে ভাববার সময় আমার নেই এবং সেটা আমাকে প্রভাবিত করেনা।
আর হ্যাঁ আমার বন্ধুকে তোমার কথা বলেছি,ঠিক বন্ধু নয়,তার চেয়ে বেশি কিছু।পথিক চাকমা-দেখতে বেশ স্মার্ট,তোমার মত শুটকিটি নয়। 

বলছিযে তোমার এসব তাত্ত্বিক এবং কাব্যিক কথাবার্তা আমার ভালো লাগেনা। ডিস্টার্ব না করলে খুশি হব।বাই 










শেষদৃশ্যঃ অন্তোজ চ্যাটার্জি

কথকি,
তোমায় নিয়ে ভাবতে চাইনা,লিখতে চাইনা,কল্পরঙে তোমার ছবি আঁকতে চাইনা।তবু নিজের অজান্তে মনের অগোচরে চলে আস তুমি।
হৃদয়পুরের সবগুলো জানালা বন্ধকরে দিয়েছি,বাহিরে বৃষ্টির টুপটাপ শব্দ যেন বলছে-‘শুধু তোমাকে চাই’।আজো খুজিফিরি তোমায়-চায়ের কাপে, ছবির হাটে,শেষ সিগারেট কিংবা আমার কবিতার শ্রেষ্ঠ কোন লাইনে।
মনের ক্যানভাসের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে।রং-তুলি হারিয়ে গেছে,হারিয়ে গিয়েছে চিলেকোঠা,শীতের বিকেল,অশ্রুহীন রোড,চ্যাপ্টা গোলাপের ঘ্রাণ, বসন্তের উম্মাদনা।তোমায় নিয়ে লেখা কিছু কথা,বেসুর হয়েগেছে সুর।।  

“হয়তো হবার যা নয়,এখানেই থেমে যাক
হয়তো কাগজের ন্যাপকিনে বেস্ট অফ লাক”






বিরহের সুরঃবেহালা/দোতারা