শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০১১

স্বপ্নময়ী

অঝরে নামলো বৃষ্টি
নিস্তব্ধ নীরবতার মাঝে
একাকীত্বে ভাবি নিভৃতে
আজকের এ রাত আমার

নির্ঘুম রাতের পাখি হয়ে
আছি জেগে যখন সবাই ঘুমিয়ে
ভাবছি আমি সারা প্রহর আর
ফেলে আসা দিনের স্মৃতি
আহা আজও আমার
আন্দোলিত উদ্বেলিত করে

কতটা পথ হেঁটেছি কতটা
ক্লান্ত পথিক হয়ে বসে আছি
তোমার সাথে বৃষ্টিস্নাত দিন
আর ঝড় বিকেলে হেটে চলা

নির্ঘুম রাতে মনে পড়ে যায়
তোমায় নিয়ে লেখা কত কবিতার
ছন্দের তালে হেঁটেছি দুজনে
ঘুরেছি কত আপন মনে
তবুও হয়নি আজও বলা
দুটি মনের অপ্রকাশিত কাব্য
আঁধারে একাকীত্বে, নিভৃতে
মনে পড়ে এ বরষার রাতে
তোমাকে খুঁজেছি কত আমি
তবুও কি আমায় ভালবাসনি?

নির্বান স্বপ্ন

চাঁদের দেশে বানাবো বাড়ি

থাকবেনা আমার কোন গাড়ি

শূন্যে ভেসে বেড়াব আমি

যখন ইচ্ছে যেথায় খুশি



মঙ্গল গ্রহে শ্বশুর বাড়ি

সুন্দরী বধূ দেখতে মেরী

যাওয়ার সময় করব কেরী

নানান রকম ফল ফলাদি



বুধে আমার চাচার বাড়ি

চাচী আমার দেখতে ভারী

চাচাত বোন লাজুক ভেরী

মুখটা লুকায় দেখতে দেরি



পৃথিবীতে থাকে জীব জানোয়ার

ক্ষুধার্তরা শুধু করে হাহাকার

সেথায় কোন আত্মীয় নেই আমার

পৃথিবীতে ভ্রমণ করিনা আমি আর



আকার বড় বৃহস্পতির

বড় মামা হলেন ফকির

হাড় মাংস সব গেল উড়ে

থাকেন এখন কুড়ে ঘরে



বুধে থাকেন ছোট্ট মামী

মামা করেন পাগলামি

মামীর মেয়ে ছোট্ট জেমি

ডাকি আমি গাল ফুলানি



প্লুটো আমার বেয়াইন বাড়ি

আদর তিনি করলেন ভেরী

বেয়াইনকে দিলাম জলের শাড়ী

তারপর যাব বোনের বাড়ি



বোনের বাড়ি নেপচুন

খায় শুধু কেপ-চুল

কানে পড়ল হাওয়ার দুল

নাকে তাহার বৃষ্টির ফুল।

বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০১১

উপমা

বন হরিণী- নও তুমি আকাশের চাঁদ
আমার লেখা কবিতা তুমি, নও জলপ্রপাত

স্নিগ্ধ রজনীতে তুমি ফুটন্ত গোলাপ
সৌন্দর্যের প্রতীক তুমি আমি উন্মাদ

সবুজ ঘাসের উপর তুমি শিশির বিন্দু
আমার প্রেরণা তুমি, নও বিষাদ সিন্ধু

চৈত্রের দুপুরে তুমি একফোঁটা জল
অমাবস্যায় তুমি কেড়ে নিলে মন

নির্ভয়ে করবে কি আমায় আপন?

শূন্য আমি


শূন্য খাতায় লিখেছি কবিতা
ভেসেছি হাওয়ার জলে
গাইনি কোন সুরেলা গান
ব্যঙ্গ সবাই করে
শূন্যে হেটে বেরাই আমি
শূন্যে আমার বাড়ি
জীবনটা আমার ০ হল
০ সারি সারি
শূন্যে চলে জীবন তরী
শূন্য তাহার মালী
০ মনে লিখি কবিতা
আঁকি না তোমার ছবি

সানিধা এবং দৈবনী



একদিন বৃষ্টিস্নাত দুপুরে টি এস সি বারান্দায়

দাড়িয়ে উপভোগ করছি বৃষ্টি এবং বৃষ্টি কণা

বৃষ্টির টুপটাপ শব্দে আমি খুঁজছি নতুন ছন্দ

মনে বাজছে বৃষ্টির সুর, সুরেলা গান

বিরহ বেদনা কিংবা রোমান্টিক মুহূর্তের

হঠাৎ চোখ সম্মুখে দেখেছি তোমাদের

অপলক দৃষ্টিতে  তাকিয়ে আছি আমি

কেনইবা তাকাবোনা আমি

সে দেখবেই, এ চোখের ক্ষুধা

দৃষ্টি সীমার মাঝে ছিলে যতক্ষণ

অপলক দৃষ্টিতে দেখেছি ততক্ষণ

তোমরা হাঁটছ নিতম্ব দুলিয়ে

বুকের ওড়না গলায় ঝুলিয়ে

বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়ে গেছে

তোমাদের উরু, নিতম্ব এবং প্রস্ফুটিত বুক

আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম

তোমাদের জামার ভিতরের জামা

পায়জামার ভেতরের পায়জামা

মলিন, মসৃণ লুকায়িত নারীদেহংশ